আচার উৎসব-২০১৮
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘প্রাণ’ আয়োজিত আচার উৎসব। এখানে অংশগ্রহণকারীরা বানিয়ে এনেছিলেন নানান সুস্বাদু সব আচার। মজা পেয়েছিলাম বাঁশের আচারের নাম শুনে। আপনারাও দেখে নিন আচার উৎসবের খানিকটা।
আচার উৎসব-২০১৮
বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রের সামনে অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো ‘প্রাণ’ আয়োজিত আচার উৎসব। এখানে অংশগ্রহণকারীরা বানিয়ে এনেছিলেন নানান সুস্বাদু সব আচার। মজা পেয়েছিলাম বাঁশের আচারের নাম শুনে। আপনারাও দেখে নিন আচার উৎসবের খানিকটা।
সাভারের বিরুলিয়া ইউনিয়নে তুরাগ নদীর তীরে এই গোলাপ গ্রাম সাদুল্লাহপুরের অবস্থান। এখানে চতুর্দিকে গোলাপের সমারোহ। লাল টকটকে গোলাপ মাথা নাড়িয়ে বাতাসে সৌরভ ছড়িয়ে যেনো স্বাগত জানায় প্রকৃতিপ্রেমিদের। দিগন্ত বিস্তৃত সারি সারি গোলাপে সেজে আছে পুরো গ্রাম। যতোদুর চোখ যায় শুধু গোলাপ আর গোলাপ।
ঢাকার আশেপাশে অল্প সময়ের জন্য কোথাও ঘুরে আসতে চাইলে সাদুল্লাপুর হতে পারে আপনার জন্য একেবারেই উপযুক্ত জায়গা। যাত্রা পথে যেমন নদীর মনোরম দৃশ্য উপভোগ করতে পারবেন, তেমনি গোলাপের সৌন্দর্যও দেখতে পারবেন খুব কাছ থেকে। গোলাপ গ্রামের সৌন্দর্য উপভোগ করতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এখানে ছুটে আসেন প্রকৃতিপ্রেমি ভ্রমণপিপাসু মানুষজন।
এখানকার কোনো কোনো চাষী সকাল সকাল ফুল কেটে নিয়ে যান হাটে, দুপুরের পর সেসব ক্ষেতে তাই পাওয়া যায়না ফুলের দেখা। তবে যেসব ক্ষেতের ফুল কাটা হয় বিকেলে, সেসব জায়গায় খুব সহজেই আপনি উপভোগ করতে পারবেন ক্ষেত ভরা মোহনীয় ফুলের সারি সারি মিলনমেলা। সাদুল্লাপুরের পাশেই শ্যামপুর, এখানে বিকেলবেলায় আপনি উপভোগ করতে পারবেন সারি সারি ফুটন্ত গোলাপ ফুল। কারণ এই শ্যামপুরেই সন্ধ্যায় বসে গোলাপের হাট। তাই এখানকার গোলাপ চাষীরা সকালে ফুল না কেটে সাধারণতঃ বিকেল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত ফুল কেটে থাকেন।
এখানকার গ্রামের প্রায় ৯০ ভাগ লোকের পেশা গোলাপ চাষ। এখানে মূলত মিরান্ডা প্রজাতির লাল গোলাপের চাষ হয়। পুরো গ্রাম জুড়ে সারা বছরই হয় ফুলের চাষ। গোলাপ চাষের সমস্যা ও সম্ভাবনা নিয়ে আমরা কথা বলেছি এখানকার কয়েজন ফুল চাষীর সাথে।
এখানে ফুলচাষীরা সাধারণতঃ পাইকারি ১ থেকে দেড় টাকা দরে বিক্রি করে থাকেন প্রতি পিছ ফুল। আপনি চাইলে বেছে বেছে কিছু গোলাপ নিজের জন্যও কিনে আনতে পারেন খুব সস্তায়।
যেভাবে যাবেনঃ গাবতলী কিংবা মিরপুর এক নম্বর গোল চত্বর থেকে রিকশাতেই দিয়াবাড়ি বটতলা ঘাট যাওয়া যায়। ঘাট থেকে ৩০ মিনিট পরপর সাদুল্লাহপুরের উদ্দেশে ট্রলার ছাড়ে। জনপ্রতি ২০ টাকা ভাড়ায় নদীর অপরুপ সৌন্দর্য আর ঠান্ডা বাতাস উপভোগ করতে করতে মাত্র ৩০ মিনিটেই পৌছে যাবেন গোলাপগ্রামখ্যাত সাদুল্লাপুরে।
আর সড়কপথে যেতে চাইলে ঢাকার যে কোনো জায়গা থেকে চলে আসুন মিরপুর-১ মাজারের সামনে। সেখান থেকে বাস বা টেম্পুতে উঠে ১৫ থেকে ২০ টাকা ভাড়ায় চলে আসুন আকরাইন বাজার, সেখান থেকে অটোতে উঠে জনপ্রতি ১৩ টাকার ভাড়ায় পৌছে যাবেন সারি সারি গোলাপের রাজ্য সাদুল্লাপুরে।
ঢাকার এতো কাছে মনমাতানো এই গোলাপের রাজ্যে আগে না আসার আক্ষেপে কবিগুরুর বিখ্যাত কবিতার সেই চরণযুগল বারবারই মনে হয়েছে আমারঃ
‘বহু দিন ধ’রে
বহু ক্রোশ দূরে
বহু ব্যয় করি বহু দেশ ঘুরে
দেখিতে গিয়েছি পর্বতমালা, দেখিতে গিয়েছি সিন্ধু।
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া
ঘর হতে শুধু দুই পা ফেলিয়া
একটি ধানের শিষের উপরে একটি শিশিরবিন্দু।’
সব মিলিয়ে বিরুলিয়া যেন এক রূপকথার দেশ।
Posted in ভ্রমন, entertainment
Tagged গোলাপ গ্রাম, গোলাপ গ্রাম ভ্রমন, গোলাপ চাষ, গোলাপের রাজ্য, সাদুল্লাপুর সাভার, bd local bus, bd local bus travel, dhaka tour, dhaka travel spot, golap gram, golap gram birulia, golap gram documentary, golap gram mirpur, golap gram sadullapur, rose farming bangladesh, rose farming dhaka, rose village dhaka, rose village sadullapur, the rose village, travel spot dhaka, travel spot in dhaka, travel spot in savar, trip to golap gram, visit in dhaka, visiting place dhaka
না, এটি কোনো ভিনদেশী ট্রাভেল স্পট বা ফিল্মের দৃশ্য নয়, নয় কোনো গ্রাফিক্যাল প্রেজেন্টেশন। এটি ঢাকার সবচেয়ে সুন্দরতম বিনোদন কেন্দ্রের অন্যতম হাতিরঝিলে সম্প্রতি স্থাপিত ড্যান্সিং ওয়াটার ফাউন্টেইন। যা উপভোগ করলে আপনার কিছুক্ষণের জন্য মনে হবে আপনি হয়তো পৃথিবীর উন্নত কোনো দেশে অবস্থান করছেন। যেখানে বসে আপনি বন্ধু-বান্ধব বা পরিবারের সাথে বিকেল আর সন্ধ্যাটা কাটিয়ে দিতে পারবেন উচ্ছাস আর আনন্দের সাথে। ভিডিওটিতে দেখুন হাতিরঝিলের চোখ ধাঁধানো সৌন্দর্য।